হাঁটুর ব্যথার কারণ
গবেষণা দেখা যায় পুরো পৃথিবী তে ৫৫ বছরের ওপরে ১৫ শতাংশ পুরুষ ও নারী |
ভীষণ ভাবে হাঁটুর ‘’’অস্টিওআর্থ্রাইটিস’’’ বা বাতরোগে ভুগে থাকেন।
মাসিক-পরবর্তী ইস্ট্রোজেন হরমোনের ওভাবে নারী দের অস্টিওপোরোসিস নামক একটি হাড় ক্ষয় রোগ হয়, যা নারী দের ক্ষেত্রে এ রোগের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া যাঁদের বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশিতাঁদের হাঁটুব্যথার ঝুঁকি রয়েছে।
অস্টিওআর্থ্রাইটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত সুব্যবস্থা প্রয়োজন, যেখানে একজন ডাক্তার এবং ফিজিওথেরাপিস্ট রোগী প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসা সেবার পরিকল্পনা করবেন। যদি ৫৫-৬০ বছর বয় সের কোনো রোগীর অস্টিওআর্থ্রাইটিস নির্ণয় করা যায়.. তাহলে হায়ালুরোনিক ‘অ্যাসিড-ের’ ইনজেকশনের মাধ্যমে জয়েন্টের ভিতর লুব্রিকেশন করা সম্ভব। গবেষণা মতে .. বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্টের সায়নোভিয়াল ফ্লুইডে হায়ালুরোনিক ‘’অ্যাসিড-ের’’ পরিমাণ কমে গিয়ে সঞ্চালনে ব্যথার সৃষ্টি করে.. বাস্তব অভিজ্ঞ তায় দেখা যায়,, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ইনজেকশনের পর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে সার্জারি প্রতিহত করা সম্ভব।
৭০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি সার্জারির ধকল অনেকাংশে সহ্য করতে পারেন না এবং সার্জারিপরবর্তী বিভিন্ন জটিল-তা দেখা দেয়, যা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সার্জারি ছাড়াও হাঁটুর বাত বা ‘’’অস্টিওআর্থ্রাইটিসের’’’
ব্যথা নিরাময় করা সম্ভব।
হাঁটুর ব্যথায় করণীয়
- অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নিতে হবে।
- তীব্র হাঁটু ব্যথা হলে দুই-তিন দিনের জন্য পূর্ণ বা আংশিক বিশ্রাম নিতে পারেন
- যেসব ক্ষেত্রে ব্যথা বাড়ে, যেমন সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করা,
- লো কমোডে বসা, লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি পরিহার করতে হবে
- ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা কমার জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ২০ মিনিট গরম বা ৫ অথবা ১৫ মিনিট বর ফের ঠাণ্ডা সেঁক নিতে পারেন।
- পায়ের সম্মুখ দিকের মাংসপেশি, যেমন কোয়াড্রিসেপস, পিছনের হ্যামস্ট্রিং, সোলিয়াস,
- ‘’’গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস’’’ ‘’’টেন্ডো-আকিলিস ‘’’ ইত্যাদি সফট টিস্যুর স্ট্রেচিং করতে হবে
- হাঁটুর ওপরের মাংসপেশি শক্তি বাড়ানোর জন্য তিন কে-জি ওজনের বালির ব্যাগ পায়ের গোড়ালির সামনে বেঁধে চেয়ারে বসে পা সোজা এবং ভাঁজ করতে হবে , এটি ১০-১৫ বার করে দৈনিক ৩-৪ বেলা করা উচিত।
- পায়ে ভারী বস্তু বেঁধে উপুড় হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করতে হবে
- আগের ব্যয়ামের মতো দিনে তিন-চার বেলা করতে হবে।যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে।
- যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে।
- প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে (ব্যথা কমে গেলে সিজদাহ এবং হাঁটু ভাঁজ করে নামাজ পড়া যেতে পারে)। নামাজে ওঠা বসা ও রুকুতে হাঁটুর অনেক থেরাপিউটিক ব্যায়াম হয়ে যায়।
- সুষম ও অ্যান্টিটক্সিক খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
- সুনির্দিষ্ট থেরাপিউটিক ব্যায়াম গুলো ভালোভাবে বোঝার জন্য একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন এবং তাঁর তত্ত্বাবধানে সঠিক ভাবে নিয়মিত সেগুলো করতে পারেন। ভুল ভাবে করলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন