সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জীবনের গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভাল__থাকো____মা

#ভাল__থাকো____মা..... কী পাপ করেছিলাম মা? কুত্তা দিয়ে খাওয়ালে আমাকে!!! মা, বল তো অামি কে? -তোমার গর্ভে রাতের অাঁধারে লুকিয়ে জন্ম নেয়া অামি সেই হতভাগা সন্তান! অামিই সেই যাকে লোক লজ্জার ভয়ে নর্দমায় একটা বাক্সবন্দি করে জ্যান্ত ফেলে এসেছিলে। জানো মা, তুমি চলে অাসার পর অামার সাথে কি হয়েছিল? তুমি যখন বাক্সবন্দি করে অামায় ফেলে অাসলে, অামি চোখ খুলে দেখি তুমি নেই। এদিক-ওদিক সবদিক তোমায় খুঁজলাম। চারিদিকে অন্ধকার অার অন্ধকার। বুঝে নিলাম তুমি কাছে নেই। অামি তো তোমায় মা বলে ডাকতে শিখিনি তখনো। কিন্তু অামি জানতাম অামার চিৎকার শুনে তুমি দৌঁড়ে ছুটে অাসবে। তাই চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম। জানো মা, অামার চিৎকারে তুমি এলে না ঠিকই। কিন্তু রাস্তার কুকুরগুলো অামার কাঁন্না শুনে ঠিকই অামায় খুঁজে নিল। অামি ভাবলাম কুকুরগুলো বুঝি অামায় মায়ের কাছে নিয়ে যাবে। কিন্তু না মা। ওরা তো অামায় খাওয়ার জন্য ছুটে এসেছিল। একটা দুইটা কুকুর না মা। প্রায় ৫/৬ টা কুকুর। কি ধারালো দাঁত ওদের। অামায় দেখেই ওদের মুখ দিয়ে লালা পড়ছিল। প্রথমে একটা কুকুর এসে নখ দিয়ে অামার পাঁজরগুলো ছিঁড়লো। তারপর অারও দুইটা কুকুর অামার মাথাটা নিয়

২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাচ্ছিলাম

শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাচ্ছিলাম... পথ আগলে দাঁড়ালো রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার ও শফীউল... হাতে ফুল নিয়া কই যান ভাইজান..?? আমি:- জ্বী ভাই, শহীদ মিনারে যাচ্ছি... সালাম:- ফুল দিয়ে কি হবে ভাই..?? আমি:- না মানে আপনাদের স্বরণ করবো... আপনাদের আত্বা শান্তি পাবে..!! বরকত:- হা হা হা হাসাইলা মোরে... কোরআন, হাদীসের কোথাও লেখা আছে ফুল দিলে আত্বার শান্তি হয়..?? কখনো আমাদের কারো কবর জিয়ারত করছো.?? কখনো আমাদের জন্য দু'রাকআত নামাজ পড়ে দোয়া করছো..?? আমি:- না ভাই... রফিক:- হুম! আচ্ছা প্রতি বছর এভাবে কতো টাকার ফুল দাও..?? আমি:- না মানে,কোটি টাকার ও বেশি হবে হয়ত... শফীউর:- আচ্ছা আমার মা যে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে সে খোজ খবর কেউ নিয়েছো.?? সালাম:- আমার আত্বীয় স্বজনরা যে রিকসা চালিয়ে দিন মুজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে, তার কি কোন খবর কেউ রেখেছো..?? , আমি:- না মানে ভাই, জীবন তো দিছেন আপনারা, আপনাদের আত্বীয় স্বজনরা তো আর জীবন দেয় নাই..!! তাদের খোজ কেনো করবো..?? বরকত:- যুদ্ধ তো করছে মুক্তিযোদ্ধারা, তাহলে তাদের নাতী পুতিরা কেনো এতো সুযোগ সুবিধা পায়..?? শফিউর:- বাদ দেও তো বর

জীবনের গল্প

আমি মোজাম্মেল  এই জীবনের গল্প কাহিনি   অনলাইন  অন লাইন থেকে নেয়া  নীলা নামে ১৭ বা ১৮ বছরের একটা সুন্দরী মেয়ে   আমাদের অফিসে জয়েন করেছে আজ থেকে প্রায় সাত বা আট মাস আগে। ওর কাজ হচ্ছে অফিস পরিষ্কার করা, ব্যাংকে যাওয়া ও বাইরের কাজগুলো করা। খুব সুন্দর সুন্দর পোশাক পরে আসে। মিয়ানমারের মেয়ে। প্রথম যেদিন দেখলাম ওর সঙ্গে একটু কথা বললাম। বাড়িতে কে কে আছে, কত দিন হলো ব্যাংককে এসেছে, কোথায় থাকে ইত্যাদি। খুব ভালো লাগল / প্রতিদিন সকালে যখন দেখা হয় জিজ্ঞাসা করি, কিছু খেয়েছ সকালে? কোনো দিন উত্তর দেয় খেয়েছি, কোনো দিন  না, পরে খাব। একদিন কথায় কথায় বলল দেশে ওর বাবা-মা আছে তাদের জন্য টাকা পাঠায়। ফোনে খোঁজখবর নেয়। আমি সাধারণত ওকে বাইরের কাজে পাঠালে কিছু টাকা দিই যাতে এক গ্লাস ওভালটিন বা আইসক্রিম কিনে খেতে পারে। ও নেয়। কোনো কোনো দিন নিতে চায় না। তারপরও জোর করে দিই। কয়েক দিন আগের ঘটনা। আমাদের অফিসের দুটি কম্পিউটার আছে কম্পিউটার শপে, সঙ্গে প্রিন্টার। আমাকে গিয়ে সব ঠিক আছে কি না চেক করে আনতে হবে। নীলাকে সঙ্গে নিলাম। যেতে যেতে কথা বলছি ওর সঙ্গে। বললাম তোমার বাবা-মায়ের জন্য খারাপ লাগে না। এই বিদেশে