সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কী-বোর্ড থেকে উঠে যাচ্ছে ‘ক্যাপস্‌ লক

কী-বোর্ড থেকে উঠে যাচ্ছে ‘ক্যাপস্‌ লক’
কম্পিউটারের কী-বোর্ডে অনেকগুলো বোতাম (বাটন) আছে। একেকটি বোতামের কাজ একেক রকম। এ রকমই একটি বোতাম ‘ক্যাপস্‌ লক’। ইংরেজিতে কোনো বর্ণমালা বড় (ক্যাপিটাল) অক্ষরে লিখতে এ বোতাম (বাটন) ব্যবহার করা হয়। তবে বাংলা অক্ষর লেখার ক্ষেত্রে এটি কোনো কাজে আসে না। অবশ্য বর্তমানে ইংরেজিতে ক্যাপিটাল অক্ষরে লিখতেও ক্যাপস্‌ লকের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে এসেছে। কারণ, লেখার ক্ষেত্রে সহজ হওয়ায় এখন ক্যাপস্‌ লকের চেয়ে ‘শিফট’ বোতাম বেশী জনপ্রিয়।
ক্যাপিটাল অক্ষরে কিছু লিখতে হলে বাম হাতের আঙ্গুল দিয়ে শিফট চেপে অক্ষরটি লিখলেই কাজ হয়ে যাচ্ছে। ক্যাপস্‌ লক ‘অন’ (চালু) করে অক্ষর লেখা, আবার ক্যাপস্‌ লক ‘অফ’ (বন্ধ) করা— এতে একটু সময় বেশী লাগে। এ কারণে ক্যাপস্‌ লক বোতাম কী-বোর্ডে থাকলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এটা অব্যবহৃত থেকে যায়। আর ইংরেজি ছাড়া অন্যকোনো ভাষায় ক্যাপস্‌ লক প্রয়োজনই হয় না।
এ ছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যদি পাসওয়ার্ড দিয়ে বন্ধ (লক) করে রাখা হয় এবং পরে তা অন করার সময় পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরও যদি তা না খুলে তখন একটি একটি বার্তা ভেসে উঠে ‘পাসওয়ার্ড ভুল, সম্ভাবত ক্যাপস্‌ লক অন আছে’। ক্যাপস্‌ লক অন থাকলে পাসওয়ার্ড দিলেও কাজ হয় না। ইমেইল, ফেসবুক বা অন্যকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ্যাকাউন্টে ঢোকার সময় যদি ক্যাপস্‌ লক অন থাকে তাহলে একই সমস্যা হয়। তাই ভুলে যদি কারো আঙ্গুল ক্যাপস্‌ লকে পড়ে যায় তখন সে বিরক্ত বোধ করে। আর ক্যাপস্‌ লকের বোতামটি শিফট বোতামের ঠিক উপরেই। এ জন্য লেখার সময় ভুলে ক্যাপস্‌ লক এ চাপ পড়ে বেশী। এ সব কারণে নতুন কী-বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘ক্যাপস্‌ লক’ বাটনটি।
অবশ্য ধীরে ধীরে ক্যাপস্‌ লক বাটনটির ব্যবহার কমে যাওয়ায়— টাইপ রাইটার ও কম্পিউটারে এর গুরুত্ব বুঝাতে এবং এর প্রতি ভালবাসায় সিক্ত হয়ে কিছু মানুষ বেশ ক’বছর ধরে ২২ অক্টোবর (প্রতি বছর) ‘ক্যাপস্‌ লক ডে’ পালন করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ, বাংলা লেখার সফটওয়্যারের উদ্ভাবক ও বাংলা সফটওয়্যার ‘বিজয়’-এর নির্মাতা মোস্তাফা জব্বার দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য কিছু জিনিস তো বিসর্জন দিতেই হয়। আগে কম্পিউটারে বিশেষ করে টাইপ রাইটারে ক্যাপস্‌ লকের ব্যবহার ছিল। তখন ইংরেজি লেখার জন্য রোমান হরফের ব্যবহার হতো। আর এখন তো রোমান হরফেরই দিন শেষ।”
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, “এনালগ সময়ের জিনিস তো ডিজিটাল সময়ে এসে প্রয়োগ করা যাবে না। এখন আর ক্যাপস্ লকের কোনো কার্যকারিতা নেই। আমাদের জন্য বা এ যুগের জন্য ক্যাপস্ লক কোনো বিষয়ই না। এখন আর ‘ক্যাপস্ লক ডে’ মনে হয় না কেউ ওইভাবে পালন করেন বা মনে রাখেন।”
তবে বাংলা ভাষা-ভাষীদের উদ্দেশে মোস্তাফা জব্বারের আহ্বান হচ্ছে, “‘ক্যাপস্ লক ডে’র পরিবর্তে আমাদের উচিত ‘বাংলা অক্ষর দিবস’ পালন করা।”
আইটি প্রতিষ্ঠান ‘সফটটেক’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান দ্য রিপোর্টকে বলেন, “ক্যাপস্‌ লকের কিছু ভক্ত রয়েছেন৷ যারা সনাতন টাইপ রাইটার ব্যবহার করতেন, তাদের কাছে এখনো এ বোতামটি খানিকটা গুরুত্ব বহন করে৷ তা ছাড়া প্রতি বছরের ২২ অক্টোবরকে কিছু মানুষ পালন করে ‘ক্যাপস্‌ লক ডে’ হিসেবে৷ এই দিনটিতে কিছু মানুষ সব ইংরেজি অক্ষর ক্যাপিটাল লেটারে লিখে থাকেন৷”
এদিকে সার্চ জায়ান্ট গুগল-ও ক্যাপস্‌ লককে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছে৷ গুগল ক্রোম অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত ল্যাপটপের কী-বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ক্যাপস্‌ লক৷ এর পরিবর্তে সেখানে একটি ‘সার্চ’ বোতাম দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই বোতাম অধিক সহায়ক হবে৷ সংগ্রহ- দ্য রিপোর্ট২৪ থেকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

উপদেশ মূলক কিছু কথা বা sms এই লেখা গুলি হয়তো তুমার জীবনকে বদলে দিতে পারে

 এই  লেখা গুলি হয়তো তুমার জীবনকে বদলে দিতে পারে  ✅✔✅✔✅✔✅✔💥 ♠♠♠ সাফল্যের ৩টি শর্তঃ – অন্যের থেকে বেশী জানুন! – অন্যের থেকে বেশী কাজ করুন! – অন্যের থেকে কম আশা করুন! —————————————————————- উইলিয়াম শেক্সপিয়ার। ♠♠♠ আমি নষ্ট করেছি সময়, এখন সময় নষ্ট করছে আমায় —————————————————————- শেকসপীয়ার। ♠♠♠ চন্দ্রের যা কলঙ্ক সেটা কেবল মুখের উপরে, তার জ্যোৎস্নায় কোনো দাগ পড়ে না। —————————————————————- রবি ঠাকুর। ♠♠♠ ”মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়ে বিরহের যন্ত্রণা যে কতো কঠিন, কতো ভয়ানক তা একমাত্র ভুক্তভুগিই অনুভব করতে পারে” —————————————————————- কাজী নজরুল ইসলাম। ♠♠♠ বিশ্বাস করুন,আমি কবি হতে আসিনি,আমি নেতা হতে আসি নি-আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম,প্রেম পেতে এসেছিলাম-সে প্রেম পেলামনা বলে আমি এই প্রেমহীন নীরস পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চির দিনের জন্য বিদায় নিলাম। —————————————————————- কাজী নজরুল ইসলাম। ♠♠♠ জীবন হলো পেন্সিলে আঁকা এক ছবির নাম, যার কোনো অংশ রাবার দিয়ে মুছে ফেলা যায় না। —————————————————————- জন ডব্লু গার্ডনার। ♠♠♠ ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন

ধাঁধা, কঠিন ধাঁধা জোকস

1 = কী এমন জিনিস যা শব্দ হলেই ভেঙে যায় ? 2= কী এমন জিনিস যা এক কোণায় বসে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ায়? 3= পারলে বলেনত দেখি – সাগরে জন্ম তার আকাশে উড়ে, পর্বতের কাছে মার খেয়ে কেঁদে কেঁদে মড়ে। এইটা কি? 4= কোন্ সে শয়তান, নাকে বসে ধরে কান। 5 = পারলে বলেনত দেখি – হাড় মট মট বাকলে দড়ি, তার পাতাতে হই তরকারী। এইটা কি? 6= তিন অক্ষরের নাম তার বিচি কলা খায় মধ্যের অক্ষর বাদ দিলে জলে উইড়া যায়। 7= পারলে বলেনত দেখি – কালিদাসের ছোট বেলার কথা, ৯০০০ তেতুল গাছে কয় হাজার পাতা। 8 = তোমার বউ তুমি গেলে দেয় না  কিন্তু আমি গেলে দেয়! 9= তিন অক্ষরের নাম মোর নাচতে পারি ভাল, শেষের অক্ষর বাদ দিলে মারতেও পারি ভালো 10=ধরতে গেলে পালিয়ে যায়, রুপার মত রঙ; তবুও রুপা নয় 1= ঘুম  2 = টিভি  3= মেঘ  4 = চশমা  5= পাট গাছ  6= বাদুড়  7= ১৮০০০ পাতা  8= ঘোমটা  9= লাটিম  10= চাঁদ  এইর

আল্লাহ্ এর 99 নাম ও তার ফজিলত

আল্লাহ্ এর 99 নাম ও তার ফজিলত 1 الله ● বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহ্ ● বাংলা অর্থঃ আল্লাহ্ ● ফজিলতঃ আপনি ১০০০ বার দৈনন্দিন আল্লাহর এই নাম পাঠ করেন, আল্লাহ্ আপনার হৃদয় থেকে সব সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা সরিয়ে সংকল্প ও বিশ্বাসের ধীরে ধীরে প্রবেশ করান হবে। ইন শা-আল্লাহ। 2  الرَّحْمَنُ ● বাংলা উচ্চারণঃ আর-রহ'মান ● বাংলা অর্থঃ পরম দয়ালু ● ফজিলতঃ আপনি প্রতি নামায (প্রার্থনা) এর পর ১০০ বার দৈনন্দিন আল্লাহর এই নাম পাঠ করেন, আল্লাহ্ আপনার হৃদয় থেকে কঠিন নির্মমতা ও অবহেলার মুছে ফেলা হবে। ইন শা-আল্লাহ। 3  الرَّحِيمُ ● বাংলা উচ্চারণঃ আর-রহী'ম ● বাংলা অর্থঃ অতিশয়-মেহেরবান ● ফজিলতঃ আপনি প্রতি নামায (প্রার্থনা) পর ১০০ বার দৈনন্দিন আল্লাহর এই নাম পাঠ করেন, আল্লাহ্ সব বিপর্যয়ের এবং রোগ বিরুদ্ধে আপনাকে রক্ষা করবে। ইন শা-আল্লাহ। 4    الْمَلِكُ  ● বাংলা উচ্চারণঃ আল-মালিক ● বাংলা অর্থঃ সর্বকর্তৃত্বময়, সর্বাধিকারি ● ফজিলতঃ আপনি যাওয়াল (মধ্য দিনের সময় অবিলম্বে জোহর প্রার্থনা আগে) পরে যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে আল্লাহর এই নাম পাঠ করেন,