Born হলে একটু দেখুন
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা। যার বহিঃপ্রকাশ- ছোট ছোট গোটা/ দানা, দানাগুলোতে ‘চুলকানি’ এবং ‘ব্যথা’।
ব্রণ হলে কী করবেনঃ
* দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন।
* তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন।
* মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।
* রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
* মানসিক চাপ পরিহার করুন।
* প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন।
ব্রণ হলে কী করবেন নাঃ
* রোদে বেরুবেন না, একান্তই যেতে হলে ছাতা ব্যাবহার করবেন ।।
* তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।
* ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না।
* চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়।
* অতিরিক্ত তেল, ঘি, মশলা খাবেন না।
* বেশি রাত পর্যন্ত অযথা জেগে থাকবেন না ।
ব্রণের কিছু কারণ হলো-
*বয়ঃসন্ধিকালে এন্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য
*মাসিক বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন
* ঘন ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা কড়া মেকআপ
* ত্বকে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার (Propinobacterium ache) বংশবৃদ্ধি।
* অধিক আবেগ
* আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক শৈবাল, গরুর কলিজা, রসুন ইত্যাদি
* কেরোসিন বা কয়লা (যেমন বাসার ফার্নিচারের বার্ণিশ)
* একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো বা হাতের ওপর মুখ রেখে ঘুমানো
* জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিঁচুনি বা মানসিক রোগের ওষুধ।
কেন ব্রণের চিকিৎসা করাবেনঃ
ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাÍক ক্ষতি করতে পারে। ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।
আর ব্রণ হলে চেহারা খারাপ দেখানোর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্রণের জন্য অন্যের কথা শুনে বা নিজের পছন্দসই কোনও
ওষুধ লাগাবেন না। কতটা বেশি ব্রণ হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে খাবার ও লাগানোর জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া হয়। তবে ব্রণের চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ।
তাই ধৈর্য ধরতে হবে আপনাকে। হঠাৎ চিকিৎসা পদ্ধতি বা ডাক্তার বদলাবেন না।
ব্রণের চিকিৎসাঃ
* সব ধরনের প্রসাধনী বর্জন করতে হবে। নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রণ আপনা-আপনি সেরে যায়।
* দিনে দুই থেকে তিনবার ফেসওয়াশ সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময়ে সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ততা দূর করে এবং লোককূপ পরিষ্কার রাখে।
* রাতে ঘুমানোর সময় ভালো করে মুখ ধুয়ে শুধু ব্রণগুলোর ওপর চিকিৎসকের পরামর্শমতো জেল লাগানো যেতে পারে। দু’একদিন জেল ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যায়। চুলকানি বা লাল ভাব বেশি হলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
* কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে। ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সুষম সহজপাচ্য হালকা খাবার, শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
* মাথায় খুশকি থাকলে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে খুশকি দূর করতে হবে। ব্রণের তীব্রতা বেশি হলে চিকিৎসকের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে।
সমস্যা আরও তীব্র হলে আরও আধুনিক কিছু চিকিৎসা রয়েছে। যেমন
* ডারমো এব্রাসন : এর দ্বারা চামড়ার উপরিভাগ খুব সাবধানে তুলে এনে উঁচু-নিচু চামড়া মসৃণ করা হয়। যন্ত্র ও ডায়মন্ড ব্রাশ দিয়ে করা যায়। চামড়ার উপরিভাগের হালকা গর্ত ও উঁচ- নিচু সমান করা যায়। দৰ হাতে সাবধানে এই অপারেশন করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় খুব বেশি গর্ত বা ছিদ্র টাইপ গর্তের সমস্যা সমাধান করা যায় না।
* লেজার চিকিৎসা : এটি একটি অত্যাধুনিক আলোক চিকিৎসা। শক্তিশালী আলোক দিয়ে চামড়ার উপরিভাগে তুলে এনে উঁচু নিচু চামড়া সমান করা হয়। তবে ডারমো এব্রাসন ও লেজার মেশিনে একই ধরনের কাজ করা যায়।
* সার্জিক্যাল চিকিৎসা : যে দাগ বেশি গর্ত এবং ডারমো এব্রাসন বা লেজার মেশিনে কাজ হয় না সে ৰেত্রে ওই গর্ত কেটে বাদ দিলে গর্ত মিলিয়ে সুন্দর মসৃণ চামড়া আশা করা যায়। শল্য চিকিৎসা ও ডারমো এব্রাসন একত্রে করলে অনেক সময় আরও ভাল ফল পাওয়া যায়।
* ফ্যাট ট্রান্সফার ও গভীর শল্য চিকিৎসা : কোন দেবে যাওয়া গর্ত ভাল করতে চামড়ার গর্তের নিচের আশ বিশেষ প্রক্রিয়ায় কেটে চামড়াকে উপরে তুলে দিলে গর্ত অনেকটা মিলিয়ে যায়। বেশি গর্ত হলে অনেক সময় নিজ দেহের চর্বি স্থানানত্মর করে অনেক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা যায়।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা। যার বহিঃপ্রকাশ- ছোট ছোট গোটা/ দানা, দানাগুলোতে ‘চুলকানি’ এবং ‘ব্যথা’।
ব্রণ হলে কী করবেনঃ
* দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন।
* তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন।
* মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।
* রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
* মানসিক চাপ পরিহার করুন।
* প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন।
ব্রণ হলে কী করবেন নাঃ
* রোদে বেরুবেন না, একান্তই যেতে হলে ছাতা ব্যাবহার করবেন ।।
* তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।
* ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না।
* চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়।
* অতিরিক্ত তেল, ঘি, মশলা খাবেন না।
* বেশি রাত পর্যন্ত অযথা জেগে থাকবেন না ।
ব্রণের কিছু কারণ হলো-
*বয়ঃসন্ধিকালে এন্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য
*মাসিক বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন
* ঘন ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা কড়া মেকআপ
* ত্বকে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার (Propinobacterium ache) বংশবৃদ্ধি।
* অধিক আবেগ
* আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক শৈবাল, গরুর কলিজা, রসুন ইত্যাদি
* কেরোসিন বা কয়লা (যেমন বাসার ফার্নিচারের বার্ণিশ)
* একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো বা হাতের ওপর মুখ রেখে ঘুমানো
* জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিঁচুনি বা মানসিক রোগের ওষুধ।
কেন ব্রণের চিকিৎসা করাবেনঃ
ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাÍক ক্ষতি করতে পারে। ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।
আর ব্রণ হলে চেহারা খারাপ দেখানোর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্রণের জন্য অন্যের কথা শুনে বা নিজের পছন্দসই কোনও
ওষুধ লাগাবেন না। কতটা বেশি ব্রণ হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে খাবার ও লাগানোর জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া হয়। তবে ব্রণের চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ।
তাই ধৈর্য ধরতে হবে আপনাকে। হঠাৎ চিকিৎসা পদ্ধতি বা ডাক্তার বদলাবেন না।
ব্রণের চিকিৎসাঃ
* সব ধরনের প্রসাধনী বর্জন করতে হবে। নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রণ আপনা-আপনি সেরে যায়।
* দিনে দুই থেকে তিনবার ফেসওয়াশ সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময়ে সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ততা দূর করে এবং লোককূপ পরিষ্কার রাখে।
* রাতে ঘুমানোর সময় ভালো করে মুখ ধুয়ে শুধু ব্রণগুলোর ওপর চিকিৎসকের পরামর্শমতো জেল লাগানো যেতে পারে। দু’একদিন জেল ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যায়। চুলকানি বা লাল ভাব বেশি হলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
* কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে। ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সুষম সহজপাচ্য হালকা খাবার, শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
* মাথায় খুশকি থাকলে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে খুশকি দূর করতে হবে। ব্রণের তীব্রতা বেশি হলে চিকিৎসকের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে।
সমস্যা আরও তীব্র হলে আরও আধুনিক কিছু চিকিৎসা রয়েছে। যেমন
* ডারমো এব্রাসন : এর দ্বারা চামড়ার উপরিভাগ খুব সাবধানে তুলে এনে উঁচু-নিচু চামড়া মসৃণ করা হয়। যন্ত্র ও ডায়মন্ড ব্রাশ দিয়ে করা যায়। চামড়ার উপরিভাগের হালকা গর্ত ও উঁচ- নিচু সমান করা যায়। দৰ হাতে সাবধানে এই অপারেশন করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় খুব বেশি গর্ত বা ছিদ্র টাইপ গর্তের সমস্যা সমাধান করা যায় না।
* লেজার চিকিৎসা : এটি একটি অত্যাধুনিক আলোক চিকিৎসা। শক্তিশালী আলোক দিয়ে চামড়ার উপরিভাগে তুলে এনে উঁচু নিচু চামড়া সমান করা হয়। তবে ডারমো এব্রাসন ও লেজার মেশিনে একই ধরনের কাজ করা যায়।
* সার্জিক্যাল চিকিৎসা : যে দাগ বেশি গর্ত এবং ডারমো এব্রাসন বা লেজার মেশিনে কাজ হয় না সে ৰেত্রে ওই গর্ত কেটে বাদ দিলে গর্ত মিলিয়ে সুন্দর মসৃণ চামড়া আশা করা যায়। শল্য চিকিৎসা ও ডারমো এব্রাসন একত্রে করলে অনেক সময় আরও ভাল ফল পাওয়া যায়।
* ফ্যাট ট্রান্সফার ও গভীর শল্য চিকিৎসা : কোন দেবে যাওয়া গর্ত ভাল করতে চামড়ার গর্তের নিচের আশ বিশেষ প্রক্রিয়ায় কেটে চামড়াকে উপরে তুলে দিলে গর্ত অনেকটা মিলিয়ে যায়। বেশি গর্ত হলে অনেক সময় নিজ দেহের চর্বি স্থানানত্মর করে অনেক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা যায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন